বাবু কেমন হলো ঘুম? খুব জানতে মন চায়। কাল থেকে তোমার আবার দিদির সাথে বের হতে হবে তাই না? মনে হয় যখন তুমি ঘুমাও তখন যদি তোমার পাশে বসতে পারতাম। খুব রাত করে ঘুমাতে যাও কেন? তারাতারি ঘুমাতে যাবে আমার কেন যেন মন খারাপ লাগে তুমি যদি দেরি কর। আজ অনেকক্ষন অফিসে ছিলাম মিটিং হইছে তাই অনেক কাজ করতে হয়েছে। তুমি কেমন আছো? কতবার জিঙ্গেস করি তুমি উত্তর দাও না। মা কেমন আছে? মার সময় কীভাবে কাঁটে? আমি মোটামুটি ভাল আছি। তোমার কথা খুব খুব মনে পড়ে জানি না তোমার অপেক্ষায় আমার কত কাল কাঁটাতে হবে? তোমার জন্য সব সময় ভাবি মনটা কেমন খাঁ খাঁ করে। তুমি যদি কাছে থাকতে তবে আমার ভয় লাগত না। আজকাল কত চিন্তা হয় আর মনে হয় তুমি থাকলে সব চিন্তা কোথায় পালাতো। কিন্তু এই ভেবে ভাললাগে তুমি ভাল আছো আর আমার কথা মনে রাখছো। জানি তোমার ভালবাসায় কোন কৃপনতা নেই ছিলও না। কিন্তু ব্যর্থ আমি তুমি যেমন চাও তেমন কর ভালবাসতে পারলাম না। ভাল থাক। কাল হয়ত ব্যস্ত থাকব তাই তুমি তারাতারি নেটে বসবে আমি যদি দেরি করি তুমি মেসেজ লিখে রাখবে। তুমি কিন্তু ইংরেজিতে লেখার চেষ্টা করনা। আজ বাসায় ফিরতে দেরি হবে তাই চুল কাঁটাতে পারব না কিন্তু কাল চেষ্টা করব। ফেসবুকে সবগুলো ছবি আপলোড করেছি। তুমি গিটার বাজাচ্ছো ওটা আমার এই এলবামের সবচেয়ে প্রিয় ছবি। পাথরে,ব্লকে আর বালিতে তোমার নাম লিখেছি দেখ। আর ভাল থাক। আমার জান। অনেক অনেক মিস্ করি।
Monday, August 31, 2009
একা বসে আছি
তিনটা দিন।
বাবু আমি ভাল আছি। তোমার কাছে ২ দিন মেইল করতে পারি নি আমর ভাল লাগেনি। তোমাকে ছাড়া আমার প্রহরগুলো নিদারুন কষ্টের। জানি না দুদিন কেমন ছিলে? কিন্তু আমি সব সময় প্রার্থনা করি তুমি ভাল থাকো। এমাসে ১১,২০০ মত টাকা পেয়েছি কিন্তু সব খরচ বাদ দিলে আগের মত অবস্থা ভেবেছিলাম যেদিন পারমানেন্ট হব সেদিন তোমায় কিছু একটা দিব কিন্তু হলো না। সেন্ডেলটা মোটামুটি ভাল আছে কিন্তু ভাল বলতে তুমি যা বুঝ সে রকম নেই। কিন্তু তুমি নাই তাই কিনতে মন চায় না যখন তুমি ফিরে আসবে দেখবে আমি তখনও তোমার দেয়া অনেক জিনিস ব্যবহার করছি কারন ওগুলো আমায় তোমার হয়ে সান্ত্বনা দেয় ।
দিদি কেমন আছে? শরীর কী ব্যথা করে? বলো আমরা দিদির জন্য প্রার্থনা করছি। জানি ঈশ্বর ওনার সহায় আছেন। চিটাগং ভাল লেগেছে কিন্তু তুমি ছাড়া আমার কাছে স্বর্গ নরক দুটোই এক। একা একা কষ্ট হয়। লোকেরা যখন সান্ত্বনা দেয় রাগ লাগে। ট্রেনে বসে তোমার কথা খুব খুব মনে হয়েছে তুমি থাকলে আমার হাতটা ধরে রাখতে, কোন জিনিস দেখে বার বার বলতে আমি খাব, এসব কিছু তো আমার কাছে কত আদরের কিন্তু তুমি ছাড়া এসব আমার কাছে শুধুই কল্পনা। তাই অনেক মজাই আমার কাছে বিস্বাদ লাগে। আমরা পতেঙ্গা গিয়েছিলাম মজা ছিল কিন্তু সেই একই কথা। তুমি তুমি ছাড়া সব কষ্টের এমন কিছু নেই তোমায় বলতে পারি। দিদি জোড় করে ফতুয়া আর বার্মিজ সেন্ডেল কিনে দিছে। দুই বোন খুব মজা করেছে। আমি বহু কষ্টে ট্রেন পাইছি। সিনেমার মত দৌড়ে উঠেছি কিন্তু তুমি নাই তাহলে সবাই বলতো নায়িকাকে নিয়ে পালাচ্ছে। টাকা ভাঙ্গি না তোমার জন্য কিছু কিনতে পারব না এই ভেবে কষ্ট লাগে। ভাল থাক চার্চে যাব তাই বেশী লিখতে পারলাম না। তারাতারি নেটে বসবা। ফেসবুকে ছবি দিতে পারি নি। কেন যেন সমস্যা হইছে। কল চেষ্টা করব। অনেক অনেক ভালবাসা আর হাপা নিও। ইতি তোমার পঁচা মনা।
বাবু জানি না কেন হঠাৎ লাইন পেলাম না। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু লাইন আসছে না। জানি তোমার মন খারাপ হইছে কিন্তু আমি অনেক ট্রাই করলাম। বাবু তুমি বেশিক্ষন থাকতে পারবা না শুনলে মন খারাপ লাগে। তার উপর যতক্ষন থাক তার চেয়ে পিসি হ্যাং হয় বেশি। আমি হলে সারাক্ষন নেটে বসে থাকতাম তুমি যদি ১ ঘন্টা পর পরও লিখতে তবে আমি উত্তর দিতাম। মনটা খারাপ করে দিলে কাল রাতে ঘুম হয়নি। দীপের খুব শরীর খারাপ ওরা সবাই বাসায় আসছে। অনেক রাতে ঘুমিয়ে ৬টায় উঠলাম যাতে তোমাকে বেশিক্ষন পাই কিন্তু তুমিও বিজি। খারাপ লাগে কিন্তু কীই বা করতে পারি। ভাল থাক। মন খারাপ করো না। একদিন অনেক সময় পাব এ আশায় আছি। মা কেমন আছে? ওনার তো কোন সারাশব্দ পাই না। দিদি কী পুরা সুস্থ? অফিস করতে পারে? আর তোমার অবস্থা কী? এখন কী করছো। আজ দিনটা পঁচা করে দিলে।
Tuesday, August 25, 2009
বাবু আমার মন আজ ভাল।
বাবু আমার মন আজ ভাল। তোমার সাথে কথা বললে আমার ভাল লাগে। তুমি সত্যি করে বল কেমন আছো? আজ ২য় রোজা চলে যাবে তুমি থাকলে কলাবাগানের ইফতারি খেতাম। আমার সময় কাঁটতে চায় না। আর তুমি কিনা বল আমি এম বি এ শেষ করার পর আসবে। এটা কোন কথা হল। ভাল থাকো। আমি সব সময় তোমার জন্য প্রার্থনা করি। তোমায় অনেক ভালবাসি। ঈদে নতুন জামা কিনতে মন চায় তুমি যেহেতু নাই তাই বোধ হয় কেনা হবে না। মন খারাপ করো না। আমি তোমায় মিস্ করি। তোমার জন্য মন কাঁদে। ভাল থাকো।
আর কত দিন ?????????
জানি না তোমার মন কতটা কাঁদে। আমি কথা রাখার চেষ্টা করছি। তোমায় প্রতি দিন মেইল করছি। জানি তুমি পড়তে পারনা। তারপরও করি মনকে বাঁচিয়ে রাখতে করি। তোমার দিনগুলো কেমন ভাবে কাঁটছে? আমার তো মরে যেতে ইচ্ছে হয়। তুমি কীভাবে এখন স্বাভাবিক আছো আমার জানতে খুব ইচ্ছে হয়। ২৪/৭ মানে সারা দিন আমার তোমার ভাবনায় কাটে মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি আমার জন্য পাহাড় সমান দুঃখের কারন। ইফতার শুরু হয়ে গেছে কিন্তু আমি তো কিছুই খেতে পারি না দেখলেই কান্না পায় মনে পরে গত বারের কথা দু'জনে পার্কে গিয়ে খেতাম তুমি নাই তাই ও খাবার ইচ্ছেও আমার মরে গেছে। খুব খুব কান্না করি। ইয়োথ গ্রুপ ছেড়ে দিছি। চার্চও চেঞ্জ করব কারন ওখানে গেলে আমার কান্না ছাড়া গতি থাকে না। ভাল থাক। জানি কঠিন তারপরও চেষ্টা কর। ঈশ্বর তো আছেন।
Monday, August 24, 2009
আমি কী বাতাস?
নীলু আমি কিন্তু একটি মানুষ এবং তুমি ভাল করেই জানো আমি কেমন। আজ কয়টা দিন হয়ে গেল তুমি হিসেব কর? সব দায়িত্ব কী আমি একা বয়ে বেড়াবো না তুমি কিছু অনুভব করো? আমার অনেক কষ্ট লাগে মনে হয় ও কেন এত জ্বালা দেয়? আজ কয়েকটা দিন যে কী অসহ্য যন্ত্রনায় কাঁটছে তা কী তুমি অনুভব করো? নিজ সত্বাকে কী বিসর্জন দিলে? মানুষ এতটা পাষান হয়? আমার কাছে ১০০টাকা ছিল সেদিন তোমায় ৫০ টাকার ফোন করেছি বাকী থাকে কত? তুমি জানো যতক্ষন আমার কাছে টাকা থাকে আমি তোমায় কখনও খরচ থেকে বাঁধা দেই না কিন্তু টানটানি শুরু হলে আমি বারন করি।আর কত নিশ্চুপ হয়ে থাকবে। তুমি অনেক বদলে গেছো। আগে নিজের মোবাইলে টাকা না থাকলে অন্য মেয়েদের নাম্বার থেকে মিস্ কল দিতে আর এখন তো। থাক মানুষ স্মৃতি মনে করতে না চাইলে শুধু শুধু জবরদোস্তি করে কী লাভ। কিন্তু তোমার নির্বাকতা আমায় কাঁদায়। আমার সব কেমন যেন অগোছাল হয়ে গেছে। ভাল থাকো।
Sunday, August 23, 2009
আমি কী মানুষ না জীবন পাবার অপেক্ষায় থাকা রবোট।
তুমি কী অনুভব কর কতটা দুঃখে আমি আছি? তুমি কী শুনতে পাও আমার গোপন কান্না। মন বলছে এসব শরীরি ব্যাপার তোমায় স্পর্শ করে না। আজ ৫টি দিন হয়ে যায় অথোচ তুমি নির্বিবাক তোমার কোন খবর নেই। একটি বিষয় পরিষ্কার হও। শত সমস্যা আর তোমার প্রচন্ড রাগও আমায় তোমার সাথে দেখা করার থেকে ফেরাতে পারেনি। এরমাত্র একটি কারন তোমার জন্য এ হৃদয়ের অনুভূতি। এত দূরে একজন সর্বাত্নক চেষ্টা করে মরছে আর তুমি কিনা এক দাদা দিদির কথা বলে পার পেয়ে যাবে। এ সম্পর্কের কী কোন অধিকার নেই নাকি সে অন্যের দয়ায় অন্যের মুখাপেক্ষি। জানি তোমার ভেতরটা কেমন করছে কিন্তু আমি যে আর পারছি না বাবু। তোমায় কষ্ট দিব এ ইচ্ছে আমার উবে গেছে। আর হয়তো জেনে তোমায় কোন দিন কষ্ট দেব বা দিয়েছি তাও নয়। কিন্তু তুমি যে ভাবে কষ্ট দিচ্ছ তা মরমান্তিক। তোমায় নিয়ে আমার কোন সংসয় নেই যা আছে তা ভাবনা। তোমার খবর না পেলে তোমায় এক মুহূর্তের জন্যেও যদি অনলাইনে দেখি তবে আমি সান্ত্বনা পাই। তোমার এক কথার একটি মেইল আমায় যে কি পরিমান সান্ত্বনা দেয় তা তুমি বুঝবেনা। আমার দ্বীনতা তোমার অজানা নয় কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবি একি তার পরিহাস। জানি না, মুখে বল ভাল থাকো কিন্তু একবার প্রশ্ন কর নিজেকে এভাবে কী ভাল থাকা যায়। তুমি ভাল থেকো। নিঃস্ব হতে পারলাম না, তা না হলে তোমায় কল করে কথাগুলো বলতাম। অনেক কষ্ট দিচ্ছ।
Thursday, August 20, 2009
আমি আর কত অপেক্ষা করব? জানি তুমি উত্তর দিতে পারবে না।
জানি না তুমি কবে আবার আমার মেইল দেখতে পারবা তবে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। তুমি যখন বললে তোমাদের মেশিনটি ভেঙ্গে গেছে তখন থেকেই মনটা কেমন করছে। নীলু আমি কিন্তু সত্যি বলছি আমার ভেতরটা নানা খবরে কেমন যেন মুহূর্তের মধ্যে চেঞ্জ হয়ে যায়। আজ আমার প্রচন্ড রাগ হয়েছে। ভাবছি বাসায় যাব ১২টার পর। আমার সব কিছু ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে করছে। এত টেনশন আর সমস্যা নিয়ে মানুষ কি ভাবে যে বেঁচে থাকে আমি বুঝি না। তার চেয়ে পাগল ছাগল হওয়া বা মরে যাওয়া ভাল। আমি জানি না তোমায় নিয়ে এ জীবনে আমার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন সত্যি হবে কীনা। মন অনেক খারাপ করে বের হচ্ছি। তুমি আমায় মারবে এবং অনেক অনেক দুঃখ দিয়ে…………………………..। আমি জানি তুমি ভালবাস কিন্তু এবড় কঠিন সময়। সব কিছুই যেন কেমন একপেশে। জানি না তুমি আমার মেইল বোঝ কীনা। ভাল থাক। সেদিন হঠাৎ মনে হল তোমায় অন্তত প্রতি দিন ১টা মেইল আমার করা উচিত। জানো এ পর্যন্ত আমি তোমায় ১০৪টা মেইল করলাম। আর তুমি মাত্র ৫৪টা। আবার বলি ভাল থাক। তুমি ভাল আছো এই আমার জন্য ঢের বেশি।
Wednesday, August 19, 2009
তোমার ল্যাপটপ নাই?
বাবু গতকাল ঝুম বৃষ্টি হয়েছে তাই নেটওয়ার্ক ডাউন। সকাল থেকে চেষ্টা করছি লাইন পাচ্ছি না। তোমার কী খবর? তুমি কী ভাল আছো? আমার মন খারাপ। আজ কেমন যেন লাগছে। আমি ২৭ কী ২৮ তাং চিটাগঙ যাব। কল্যানী দি বড় মেয়েটা হোম থেকে আসবে। ওকে দিয়ে আসতে হবে। তুমি থাকলে খুব মজা হত। একা কা যেতে মন চায় না। ভেবেছিলাম না বলি পরে আবার ভাবলাম না তুমি যদি আবার রগ কর তাই নিষেধ করতে পারলাম না। আমার মন ভাল থাকে না। কী কী করতে পারি তুমি বলবে ভাল লাগবে। অফিসে প্রচন্ড চাপ। অনেক নতুন কাজ তাই কোন অবসর নেই কালও হব কাজ শেষ করতে সময় লাগছে। তোমার দিনগুলো কী ভাবে কাটে জানাও না কেন? আমার কিন্তু খুব জানতে ইচ্ছে হয়। তুমি কিন্তু সব সময় শান্ত থাকবা কখনও রাগ বা মাথা গরম করবা না। মন খারাপ হলে প্রার্থনা করবা। কথা বলতে মন চাইলে আগে থেকে লিখবা। আমি কল করব। ভুলভাল যা পার ইংরেজি বলার চেষ্টা করবা লজ্জা করবা না। সব কিছু মনযোগ দিয়ে খেয়াল করবা। মানুষ ভুল পছন্দ করে না। জানি তুমি অনেক সতর্ক তার পরও ভয় হয়। নিজের প্রতি অবহেলা করো না তাহলে আমি কিন্তু মরে যাব। ভাল থাক। মার প্রতি যত্ন নিও। তুমি ভাল থাকলেই আমি সুখী।
চ্যাট করতে + অনলাইনে পাওনি বলে মন খারাপ করোনা। তোমার কাছ থেকে বহু দূরে থাকলেও মনটা আমার তোমার মাঝেই। মিশনের (ছেলেদের) অনেক ছবি আনছি পলাশের কাছ থেকে। ফেসবুকে দিলে তোমায় জানাবো। আমার মনটাও খারাপ হয়ে গেল। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু লাইন ঠিক হয় না। জানি না আজ মেইল করতে পারব কী না। তবে কল করতে পারি। আগে আগে ঘুমিয়ে পরো না যেন। কাল পেটে সামান্য ব্যথা হয়েছিল। তুমি থাকলে কবে সুস্থ হয়ে যেতাম। বাবু মনে আছে তুমি একবার খুব রাগ করলে ।আর আমায় দেখতে আস না তখন আমি রিকিকে দিয়ে ফোন করিয়ে বললাম আমি অসুস্থ। তখন তুমি আর থাকতে পারলে না, চলে এলে। ঠিক যদি এভাবে কল করলেই তুমি চলে আসতে পারতে তবে আমার মন সব সময় ভাল থাকত। তুমি কিন্তু অনেক পঁচা একটাও মেইল করো না।
Tuesday, August 18, 2009
আজ সন্ধ্যায় মেইল করলাম। কী আমায় আরও ভালবাসবে তো?
তুমি কেন বললে সকালে মেইল করছি জানো কাল আমি কত ব্যস্ত ছিলাম। ইউ,বি,এস, এবং ইন্ডিয়া থেকে বসেরা এসেছে সারা দিন কাজ করেছি। ছুটির পরও কাজ করেছি। তারপর তোমার জন্য মেইল করতে বসেছি। শুধু কারেন্ট ছিল না বলে সেন্ড করতে পারি নাই। আর তুমি কী না হেসে উড়িয়ে দিলে। সারা রাত ঘুম হয় না। জেগে থাকি অনেক্ষন। যতক্ষন জাগি চুপচাপ তোমার কথা মনে হয় তারপর পড়ি। প্রার্থনা ও বাইবেল পড়ে ঘুমাতে যাই। এতক্ষন তো ভাল ছিল যেই না ঘুমাতে যাবা অমনি কোথা থেকে একটা মেয়ের কথা মনে পরে। যার ছবি ফেসবুকে আজ চেঞ্জ করেছি। জানি না তুমি দেখছ কীনা। জানো আজ কে এনজিও ব্যুরোতে গিয়েছিলাম একটু সময় বসতে হয়েছিল। সেই সময় জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখি একটি বাঁধানো জাম গাছ, খুব চেনা চেনা লাগছিল। হঠাৎ মনে পড়ে গেল লাকি যখন নাচ শিখতে এসেছিল তখন আমরা একদিন ওকে আনতে গিয়ে ওখানে বসেছিলাম। তোমার কী মনে পড়ে? শিল্প কলা একাডেমি। বাবু আজ দিপু দিকে ফোন করেছিলাম। দিদি বললো তুমি না আমার জন্য কান্না কর? তোমার মন নাকি খারাপ থাকে? আমি ভাবতাম তুমি মনে হয় ঐ পরিবেশে তোমার মন ভাব প্রকাশ করতে পার না। কিন্তু দেখলাম না তুমি আমার জন্য অনেক ভাব। সত্যি তুমি অনেক অনেক ভাল।
অপর্ণা দি, দাদা সবাই ভাল আছে। দিদি ঐ হসপিটাল থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এবং খুব তারাতারি একটা সরকারী চাকরি পাবে আমরা আশা করি। ওরা এ মাসে শাহবাগ স্যারের সাথে নতুন সরকারী ভবনে উঠবে। খুব ভাল হবে। এ্যালিস্ ওরা ভাল আছে। বৌদি অনেকটা চেঞ্জ হয়েছে। অনেক দিন হলো বাসায় কাউকে আসতে দেখি না। মার্থাদি ভাল আছে কিন্তু ওনার পিঠে অনেক ব্যথা হয়। ডাক্তার বলেছে রেষ্ট নিতে। রমজান শুরু হতে আর বেশি দিন নাই সব জিনিসের দাম হুহু করে বাড়ছে।
আমাকে বাংলা কোন টিভি নিউজ দিয়ে লাভ নেই। আমার টিভি দেখার সময় হয় না। যতক্ষন বাসায় থাকি তখন সারাটা সময় চুপ করে বসে থাকি। রাস্তায় যখন বাসে থাকি তখন এম,পি ৩ তে গান শুনি। এছাড়া আর কিছু ভাল লাগে না। তোমার কাজ কেমন লাগে? ড্রাইভিং শেখা কী শুরু করছ? কোন পড়াশুনা শুরু করছ কী? ইংলিশ বাইবেলটা কী করছো? পড়ার চেষ্টা কর। আমি একটা বই পাইছি। আমার এম,বি,এর। ঐটা পড়ছি কিন্তু সব এত খটকা ইংলিশ মনে রাখা কঠিন। প্রার্থনা করো যেন সমস্যা না হয়।
ডলি, লাক্স কী করে? মা কী সব কিছু এডজাষ্ট করতে পারছে? মা কী আমার কথা কিছু বলে? তুমি আমায় ওখানে যাবার পর কোন খবর দাও না। তুমি খুব ভাল। কিন্তু অফিস থেকে আমার যে এখন বাসায় যেতে মন চায় না? তুমি কি আমায় মাঝে মধ্যে কল করতে পার? ফোন বাজলে বুকটা কেমন করে মনে হয় তুমি বোধ হয় কল করলে।
এখন তোমাদের সময় রাত ৪:৩০। তুমি কত নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছো। মন চায় তোমার মাথার কাছে বসে তোমার চুলে হাত বুলিয়ে দেই। আর তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। বাবু তুমি কবে আসবা? তোমার হাতটা ধরতে পারব কবে? সেই আশাতে রইলাম। ভাল থাক। শোন তোমাদের সময় সকাল ৭:৩০ আমাদের ডিভশন শুরু হয়। তাই তুমি ওভাবে রেডি থকবে। আমি তোমাকে খুব খুব মিস্ করি।
আমার সমর্পন।
বাবু তোমায় অফিস আওয়ারে সময় দিতে পারি নাই। আমার খুব খারাপ লেগেছিল। জানি তুমি অনেক কিছু বলতে চাও কিন্তু পার না। হয়তো আমার মত করে অবলীলায় তোমার দুঃখ গুলো বের হয়ে আসে না। কিন্তু আমি জানি তোমারও সুন্দর একটা মন আছে যেটা এখানে পড়ে আছে। আমি অনেক মিলাতে চেষ্টা করেছি কিন্তু তোমার মতই তুমি। সবার মত করে তোমার অনেক কিছু নেই, নেই তোমার অনেক দাবি। শুধু সুন্দর ভাবে যেন একটি সংসার হয় তাই চেয়েছ। আমি এখন ভাবি মানুষ এত কম নিয়ে কী ভাবে বাঁচে? মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি থাকতে আমায় কখনও না বলোনি যখন যা আবদার করেছি তাই কিনতে বলেছো। শুধু বাজারের টাকা ছাড়া হাতে কিছুই রাখোনি। আমার খুব খারাপ লাগে যখন মনে পড়ে তোমায় দেবার মত আমার কিছুই ছিল না। তাই চেষ্টা করতাম গতর খাটিয়ে কিছুটা শোধ দেবার। তাই তোমার সাথে কখনও বা দিদিরা এলে মনে হয়েছে আমি আর কী করতে পারি যাই নীলু যা বলে তাই চরি গিয়ে। কিন্তু তুমি তাও করতে দিতে চাইতে না। সব সময় চাইতে দিদিদের বিষয় গুলো নিজে দেখতে। জানি কোন দিন অবহেলা করনি বরং যত অবহেলা করেছি আজ বহু দুরে বসে তার প্রায়শ্চিত্ব করছি। তবে সত্যি তোমায় ভালবেসিছি অনেক তোমার মত করে নয় কিন্তু একান্ত আপন ভাবে। তবে ঠিক কখন যে তুমি এ মনের সর্বেসর্বা হয়ে গেছো তা বুঝতেও পারি নি। তাই তোমার পরবাসে এত ব্যথা লাগে। মন বারে বারে ভেঙ্গে পড়ে। আজ আর শত চেষ্টাও নিজেকে বুঝ দিতে পারি না। আমি তোমার কাছে চির ঋনী হয়ে রইব। অন্য কোন কারনে নয় বরং তোমার উজার করা ভালবাসার জন্য। জানি তোমার মত করে তোমায় ভালবাসতে পারবনা তোমায় ভুল বুঝ না। এ হৃদয়ের সব টুকু জুরে তুমি তোমার স্মৃতি। যদি কখনও দেখাতে পারি তবে সেদিন তুমি কেবল বুঝবে।
কাল নতুন বাজার গিয়েছিলাম। পলাশদের ওখানে। মিশনের ছবি আনতে। ফেরার পথে ফ্লাই ওভার ব্রীজ দিয়ে আসার সময় অত লোকের মাঝেও চোখ ভিজে এল। নিশ্চই সেই সন্ধ্যার কথা তোমার মনে আছে। আজ আমার মনে হয় আমাদের খুব বেশি মজার স্মৃতি নেই। যা আছে তাও সব তোমার পীড়াপিড়ির জন্য সম্ভব হয়েছে। তুমি যি আমার মত হতে তবে হয়তো আমার জীবনটা এত সুন্দর লাগত না। বাবু মাঝে মাঝে তুমি না হয়ে যদি অন্য কেউ এ জীবনে আসত তবে কী আমি এতটা উদাসীন থাকতে পারতাম? তবুও তুমি কখনও অভিযোগ করো নি। নীরবে ভালবেসেছো। জানি আমার জন্য এটা একটা শিক্ষা। জীবনে কীভাবে ভালবাসতে হয় তুমি তা আমায় নতুন ভাবে শেখালে। জীবনে আজ এ পর্যন্ত যা পেয়েছি তা অনেক অনেক খানির দাবিদার তুমি। জানি আমায় ঘিরে তোমার যে বলয় তার মাঝে হাজারও আশার ঝলকানি। বাবু জানি না ঠিক ততখানি পারব কীনা কিন্তু তোমায় কথা দিলাম যদি ঈশ্বর বাধা না দেন তবে আমার চেষ্টার কমতি থাখবে না। তোমার জন আমার গর্ব হয় যখন দেখি তুমি আমার সাথেও অন্য ছেলেদের ব্যপারে তেমন কোন আগ্রহ দেখাও না। আর আমি না বুঝেই কত সময় নানান কথা বলে দুঃখের কারন হয়েছি। জানি তুমি এর প্রতিশোধ নিবে কীনা যদি নাও তবেই বা আমার কী করার থাকবে কারন এর জন্য আমি নিজেই দায়ি। বাবু আমার জীবনের হাজার ভুলের মাঝে তুমিই আমার বড় সান্ত্বনা। আমায় তোমার মত ভাল হতে যত দিন সময় লাগে কথা দাও পাশে রবে। যদি চলে যাও ধরে নেব হারানোর জন্যই বোধ হয় আমার জন্ম। আর হারাব বলেই তোমায় এ জীবনে পাওয়া। ভাল থাক। এ আমার হৃদয়ের প্রতি সেকেন্ডের প্রার্থনা। আর কী প্রার্থনায় খুশি থাকবে জানি না। আমি ভাল আছি কারন আমার সবটুকু জুড়ে কেবল তুমি আর তুমি। যদি পার একটা মেইল করো।
Monday, August 17, 2009
বাবু তোমার জন্য
বাবু তোমার জন্য আজকে অপেক্ষা করলাম কিন্তু সকালে তুমি নেটে আর বসলে না। ডলি রাত ১:৩০টায়ও নেটে বসেছিল। তুমি কী বসতে পার না? তুমি কেমন আছো। আমি মোটামুটি ভাল বোধ করছি। তবে আজও অনেক দেরি করে অফিস থেকে বের হয়েছি। কিচ্ছু ভাল লাগে না। তোমার খরব কী? শোন একটি কথা তুমি সকাল বেলা উঠে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত কখন কী করো সব বিস্তারিত জানিয়ে পারলে একটি মেইল করো যাতে আমি প্রতি মুহুর্তে বুঝতে পারি তুমি কী করছো। শোন দাদাকে একটু বলবা তোমায় যেন ১ বছরের জন্য পাঠিয়ে দেয়। আমার একা একা ভাল লাগে না। শোন তোমার কিচ্ছু করতে হবে না আমি সব করব তোমার কাপড়ও কেঁচে দেব কিন্তু একটি বার অন্তত আস। তোমায় না দেখতে দেখতে আমার চোখ কানা হয়ে যাবে। কাল রাতে বাসায় কেউ ছিল না। ভাই গিয়েছিল ওর বন্ধুর বাসায় কাজে আর বৌদিরা দিদির সাথে উওরা। আমি সারা রাত একা তোমার কথা খুব খুব মনে হয়েছে আর কান্না করছি। বার বার মনে হয়েছে তুমি বোধ হয় আমার পাশেই আছো কিন্তু হাত দিয়ে দেখি না ফাঁকা বিছানা। কিযে খারাপ লেগেছে তোমায় বোঝাতে পারব না। তুমি জানো আমার মন ভাল না থাকলে আমি খেতে পারি না। সব রান্না করা ছিল কিন্তু খেতে পারলাম না ভাত মাখিয়ে মনে হয়েছে আমার সাথে আর কেউ খাবে না? ভাল হইছে অল্প একটু খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। তোমার ছবিটা বারে বারে দেখছি। আর মনে হইছে তুমি একটা স্বার্থপর শুধু নিজের কথা ভেবে দুরে গিয়ে বসে আছো। তোমার উপর মন খুব রাগ করে। বাবু তুমি কী একটু মোটা হইছো। তোমার চুলের কী অবস্থা আমায় তো কিছু লিখনা। এবার অন্য কথা যদিও তোমার কথা ছাড়া আমার অন্য কথা ভাবতে বা লিখতে মন চায় না। মনে হয় নীলা এ সময়টা কম পেল। তোমরা কী বেড়াতে গিয়েছিলে? বাবু লাকি নতুন মেইল এড্রেস ব্যবহার করে, না? জান জনি বিশ্বাস ওর ফেসবুক থেকে লাকিকে বাদ দিয়ে দিছে আর লাকিও ওর ফেসবুক থেকে জনিকে বাদ দিছে কারন ঠিক ধরতে পারলাম না। আর কিছু লিখতে পারব না। তুমি ভাল থাকো। আমার অফিস করতে ভাল লাগে না। চাকরী ছাড়ার প্ল্যান করতে হবে বুঝলা। তুমি মেইল করবা ব........................ড়। মনে থাকে যেন। অনেক অনেক হাপ্পা তোমার জন্য।
Sunday, August 16, 2009
জানি নিজের চেয়েও বেশি ভাব আমার জন্য।
বাবু জানি তুমি রাগ করেছো। কিন্তু আমি আর কী করতে পারতাম। যদিও বলি লিখব না, বসবো না কিন্তু তুমি নিজেও জান তা সম্ভব নয়। আজ কাল সকালে এক ঘন্টা তোমার জন্য নেটে অপেক্ষা করলাম কিন্তু তুমি এলে না। তোমাদের সকালে নেটে বসতে চাই না কারন তোমার কাজ থাকে। তার উপর শনি আর রবিবার কী করবা তার কোন হিসেব নেই। তাই এ দু'দিন আমি অন্ধকারে থাকি। আজ মন অনেক খারাপ ছিল তোমার সাথে দু'দিন দেখা নেই তারপরও তুমি নেটে বসলে না। কাল থেকে ৯ টায় ডিভোশন কী ভাবে চ্যাট করবে? ভাবি তোমাদের ল্যাপটপটা হয়তো ডিসটার্ব দিয়েছে তাই চুপ করে থাকি। যদি চিতকার করে কাঁদতে পারতাম তবে তাই করতাম। জানি তুমি শুনতে চাও না আর বলতেও চাও না। মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি বোধ হয় আমায় কষ্ট দেবার জন্যই ভালবাসার কথা বল। তোমার কাছে এসব সম্পর্ক কী কোন অর্থ বহন করেনা? ভাবি তোমার কাছে আমার অবস্থানটা কোথায় তা চিতকার করে জানতে চাইব। শুধুই কী ব্যথা দেবার জন্যই কাছে আসা নাকি এরপর আরও শাস্তি অপেক্ষা করছে? আমি জানি আমি যতখানি উদাসিন তুমি ঠিক তার চেয়ে বেশি হিসেব রাখ আমার। তারপরও কেন এত ব্যথা দাও। আমার মন মানতে চায় না। আমি তোমার রাগ সহজে ভাঙ্গাতে পারতাম না। তুমি যদি বলতে আর দেখা করবে না তবে ঐ দিন খুব কষ্ট দিতে আমার হাজার অনুরোধ তোমায় নীচে আনলেও সারাটা সময় একটি কথাও বলতে না। যত বার হোস্টেলের দরজা থেকে আমি ফেরত এসেছি তুমি হয়তো ততবার আমার বাসায়ও যাও নি। কিন্তু তুমি বলতে পারবে না আমি তোমায় কখনও বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছি। এর একটি কারন আমি তা করতে পারতাম না তোমার চলে যাওয়া আমার ভাল লাগত না তাই তো ১৯/৬ এর পর প্রতিজ্ঞা করলাম তুমি কল্যাণপুর থেকে আর একা যাবে না যত কাজ থাকুক আমি তোমার সাথে যাব। জানি আমি বেশি দিন সময় পাইনি তবে আমি চেষ্টা করতাম। বাবু আমার এখন সব কিছুতেই তুমি এসে যাও। কাল রাতে শুতে গিয়ে হিসেব করলাম তোমার দেয়া কী কী আমার কাছে আছে দেখলাম আমার কেনা কিছুই নেই সবই তোমার দেয়া এমন কী আমার জন্ম দিনে তোমার দেয়া সেভিং ক্রিমটিও তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার দামি সেন্ডল সু, প্যান্ট-শার্ট, ব্যাগ, হেয়ার ক্রিম, টুথ ব্রাশ দেখলাম প্রতিটি জিনিস বাবু তোমার দেয়া। তাই আমি কোন সময়ই তোমার ছোঁয়া ছাড়া থাকতে পারি না। কোন কিছু ধরলেই তোমার কথা মনে পরে। রাতে ভাবি ভোরে তোমার মেইলে না জানি কত দরদ মেশানো কথা লেখা থাকবে পড়ে আমার কান্না পাবে কিন্তু তুমি মেইল করো না করলেও এত ছোট মেইল যে মন ভরাতে আমার ঐ মেইল বহু বার পরতে হয়। বাবু রাস্তায় গেলে বড় বড় আমড়া দেখা যায় কিনতে মন চায় মাত্র ৩ টাকা কিন্তু তুমি নাই বলে শুধু তাকিয়ে থাকি আর ভাবি তুমি যখন ফিরবে তখন এক সাথে খাব। তোমার ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকি ভাবি এমন তো কোন রূপ নেই তার পরও কেন এত মায়ায় জরায়? কেন এত ভালবাসতে মন চায়? কেন মনে হয় ওর জন্যই আমার সব কান্না গুলো জমা ছুঁয়ে দিলেই সব বাঁধ ভাংবে। অমন করে যে হাসছো সব কী আমার কান্না দেখে? আরও কত কী যে মনে হয়। সেদিন টিভিতে এক মহিলার কথা শুনছিলাম ওনার স্বামী নাবিক হঠাৎ নাকি কিডন্যাপ হয়েছে। মহিলা বলছিল আজ দু'দিন কিন্তু জানি না উনি কোথায়। বেঁচে আছেন কী না। সঙ্গে সঙ্গে আমার তোমার কথা মনে হয় আর এমন কান্না পেল যে সবার সামনে থেকে বাঁচতে বাথরুমে চলে গেলাম। জানি না কেন মন সব সময় এক অজানা অস্থিরতার মধ্যে থাকে। তোমায় বোঝাতে পারব না। তুমি ছাড়া আমার এ পৃথিবী শূণ্য। তুমি কেমন আছো খুব দেখতে মন চায়। আমার শত জন্মের ভালবাসা তোমার জন্য জমা। ভাল থাক। আমার চাওয়ার চাইতেও বেশি। আমি ভাল আছি যেমন রেখেছো।
Saturday, August 15, 2009
I know you love me much!
বাবু মন খারাপ হয়, মনে হয় আমার চেয়েও ক্লান্তি তোমাকে বেশি ভাবায়। মন তোমারও খারাপ হয় জানি হয়তো আমার চেয়েও বেশি কিন্তু একটা কথা আমি জানি তুমি সব সময় ছাড় দাও তোমার কাছে তোমার চেয়েও বোনদের প্রয়োজনটা বেশি। আমায় ভুল বুঝ না। হয়তো তুমি বুঝো নয়তো এটা তোমার মূদ্রাদোষ। তোমায় অনেক ভালবাসি তাই একটুও অবহেলা (আমার ভাষায়) ভাল লাগে না। এ দু’দিন তুমি নেটে নেই আমি যেয়ে যেয়ে ফিরে আসি তোমার জন্য অপেক্ষায় আমার বিরক্তি নেই কিন্তু যখন ভাবি তুমি কী এটা অনুভব কর? তখনই ভেতরটা পুরে যায়। শতবারও যদি বলি তোমায় লিখব না তা সম্ভব নয় তুমি জানো। রাগ হয় কষ্ট লাগে কিন্তু আমি নীরুপায় আমার এ অনুভূতি তোমায় ছুঁতে পারে কী? কোন দিনও ভাবিনি তুমি যে চিঠি পছন্দ করতে তা আবার শুরু করতে হবে। তোমার মেইল গুলো যে কত বার পরি তার ইয়ত্বা নেই। মেইল গুলো যাতে হারিয়ে না যায় তাই একটি আলাদা ফোল্ডার করে সব সেইভ করে রাখি যেখানে সব তোমার মেইল। বাবু ভাবছো খেয়ে দেয়ে আমার তো কোন কাজ নেই তাই এ সব করা কিন্তু তুমি বুঝবে কী করে এ সবেই আমার সুখ। তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাস যদি আলাদা করে রাখতে পারতাম! আমায় ডাকা তোমার প্রতিটি শব্দ যদি আলাদা করতে পারতাম তবেই বোধ হয় আমার সুখ হতো। প্রতিটি সময় একা, এ অনুভূতি তোমায় কতটা স্পর্শ করে জানিনা কিন্তু সব কিছু থেকে নিজে একা হয়ে আমি অনুভব করি যদি তুমি এমন একা হও তবে বেঁচে আছো কী ভাবে? জানি তুমি চাইলেও একা থাকতে পারবে না ওরা তোমায় দেবে না কিন্তু দেখ আমার কী কপাল না চাইতেই কী পাওয়া! হাজারের ভিতর থেকেও কতটা একা আমি। সরি তোমায় সব সময় একই কথা বলি। যাও আর কখনও বলবো না যদি বলি তবে মনে করিয়ে দিও আমার এ কথা। আমি ভাল আছি পরিবার আত্নীয়-স্বজন, অফিস, লেখা পড়ার চিন্তা। তোমার কী আছে? এত সুখ কী তোমার আছে? দেখ কত সুখী। কত সুখ। শুধু যে থাকলে এসব সুখ মনে হত সেই নেই। দেখলে আমার সুখ? ডাক্তার দেখাতে পারি নাই। কিন্তু প্লিজ জিঞ্জেস করো না কেন? তুমি সব জানো সব বুঝ। রাগ করো না। তোমার কাছে লুকনোর আমার কিছু নেই। কারন আমি জানি তোমার কাছে লুকিয়ে লাভ নেই। আরও একটা অনুরোধ কাউকে এ বিষয়ে একটি কথাও বলো না যেন। আমার সব কিছু জেনে বোধ হয় না তুমি এমন কিছু করবে। শরীর ভালো লাগছে। খুব চেষ্টা করছি ভাল হবার ঈশ্বর চাইলে এ রোগ কোন ব্যাপারই না। তুমি অধোর্য হয়োনা। আমি বুঝি সুস্থ হওয়া আমার জন্য কতটা প্রয়োজন। আর শোন কোন ব্যাপারে অনুরোধ করবে না জানি তোমার অনেক চিন্তা হয় কিন্তু আমিও নিরুপায়। জানি না সামনের মাসটা কী ভাবে যাবে তোমায় একটা হিসাব পাঠালাম একটু মিলিয়ে দিও।
বেতন পাব ৯,৩০০/-
কলেজ - ৪,৩০০/-
_________
৫,০০০/-
চার্চ - ৯৩০/-
_________
৪,০৭০/-
ক্রেডিট লোন ১,১০০/-
__________
২,৯৭০/-
অফিস লাঞ্চ ৫০০/-
__________
২,৪৭০/-
ঘরে ২,০০০/-
_________
৪৭০/-
বাবু হাতে থাকবে মাত্র একটা টাকা। জানি না কী হবে তবে জানি ঈশ্বর চালিয়ে নিবে। প্রার্থনা করো যেন সমস্যায় না পরি। কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছি না। প্রার্থনা করো ঈশ্বর যেন সব কিছু মানিয়ে নিতে অনেক সাহায্য করেন। সময় কাঁটে না। বাসায় বসে থাকতে একদম মন চায় না। কারো বাসায় যেতে পারি না। জানি না তুমি যদি কখনও হারিয়ে যাও তবে আমার কী হবে। রোববার হতে অফিস প্রার্থনা করো যেন সুন্দর ভাবে অফিস করতে পারি। সামনে মনে হয় অনন্ত সময় কী ভাবে যে এসময়ের অবসান হবে শুধু ঈশ্বর জানেন। তোমার কাজ কী অনেক কষ্টের? মিথ্যে বলো না আমার কেন যেন মনে হয় তুমি সুখে নেই খুব ভাবো। মন খারাপ করো না। আমি আছি তোমার পাশে। অফিসের পরেও তোমার সাথে বাজারে যাব। মাছ কাঁটতে না চাও মুরগী কিনবো..................শুধু কান্না পায়। তুমি ভাল থাক। আমার সবটুকু সুখ যেন প্রভু তোমায় দেন। বাবু তোমার যে মাঝে মাঝে বুকে ব্যথা হত ওটা কি আর হয়? জানো সারাক্ষন তোমায় লিখতে মন চায়। কিন্তু একদম কম্পিউটার ফাঁকা পাই না। তুমি কিন্তু রাগ করো না। যদি কম কম লিখে থাকি তবে রাগ করো না। আমি রোববার থেকে অফিস যাব জানি না তোমায় বেশি বেশি লিখতে পারব কী না। তুমি মন ভার করো না। তোমায় কতো কী লিখতে মন চায় কিন্তু মাঝে মাঝে ভুলে যাই। গত রাতে একফোঁটা ঘুম হয়নি। রাত জেগে গল্পের বই পড়লাম। সকালে তোমার মেইলের জন্য অপেক্ষা। ঘুমই হলো না। আচছা তোমার কী ঘুম হয়? যে কাজে যাও খুব কী কষ্ট হয়? তার পরও মন দিয়ে কাজ করো। বাইবেল পড়ো। বিজয় এবং ইংলিশ দুটোই। আর সে অনুসারে প্রার্থনা করো। আমি অপেক্ষা করি, করবো। তুমি মেইল না করলেও অপেক্ষা করব। তোমার মেইলের জন্য। মনে রেখ একজন সারাটা সময় অপেক্ষা করে। একা, যখন হাজার ভীর তখনও। আজ খুব সুস্থ লাগছে। নরমাল খাবার খেলাম কোন সমস্যা হয়নি। তোমার সাস্থের খবর কী? মাঝে মাঝে কী মাথা ব্যথা হয়? সব কিন্তু জানাবা। ভাল থাকো। কালকে অফিস। প্রার্থনা করো। সব কেমন যেন আলাদা লাগে। তুমি ভাল থেকো। কেন নুতন ছবি পাঠাও না? মন কিন্তু খারাপ হয়। সবাই তোমার কথা জিজ্ঞেস করে। যুব সমিতি তোমায় খুব মিস করে। কিন্তু আমি সব চেয়ে কম কারন তুমি পঁচা মেয়ে। খুব পঁচা। না খুব খুব ভাল। আমার নীলা।
Monday, August 10, 2009
কেন বাঁচতে বল?
আমার শত বেদনার মধ্যেও তুমিই আমার সান্ত্বনা একথাটি হয়তো বুঝতে পার। তোমায় শত বার বলেছি সব কিছুর পরও যদি তুমি বল থাক নিখিল চিন্তা করো না, তাহলে আমার সব ব্যথা চলে যায়। আর সেই তুমি কিনা আমায় আজ একটি কথাও লিখলে না। একটি বারও অনলাইনে এলে না। আমার ছুটি নিয়ে ঘরে ফেরার কথা ছিল কিন্তু তোমার কথা ভেবে সারাটি দিন পেটে ব্যথা নিয়ে অফিসে কাঁটিয়েছি। কত সান্ত্বনা খুঁজেছি কিন্তু তুমি ছাড়া আমার সান্ত্বনা কই? তারপরও রাগ করতে পারি না ভাবি ও করবে না তো কে করবে। তবে ঠিক কাছে থাকলে মজা বুঝতে……………… তাই বুঝি দুরে গিয়ে কষ্ট দাও। এক সপ্তাহ কাজে যাব না আর টাকাও নাই যে নেটে বসব এবার মজা বুঝবে অপেক্ষা কী ভাবে কাঁদায় বুঝবে। আমার সাথে এমন ব্যবহার করে কী সুখ পাও? খুব মন খারাপ করে ঘরে ফিরলাম। তুমি থাকলে লেকে যেতাম………………..। এখন কই যাব? তুমি ভাল থাকো আমার কথা দয়া করে ভেব না। আমি ভাল থাকবো। তোমার সব টুকু অবহেলা অনাদর নিয়ে যেমন জন্মের পর থেকেই। কেন বাঁচতে বল?
I am back at office.
Babu how r u? Believe u r ok. Me too. I went to church yesterday. It was nice. And got your mail that u too went to the church. I try to read bible every single day. Today I am not ok. Feeling bally pain. U know it's hard to come to office. Babu I don't know what shall I tell u. because what I want to say is that I miss u and miss u a lot. How are your days going on? We made a mistake and that is we love each other that is why we are now suffering. U know it's hard and hard to stay or live without u. take care I am feeling well and I know that I will not be ok until you come back. God bless you.
Friday, August 7, 2009
বাবু অনেক দিন হল তোমার কোন দেখা নাই।
তাইতো সব সময় তোমায় অনুভব করি। তোমার স্পর্শ, তোমার গন্ধ, তোমার হাঁসি, তোমার রাগ, তোমার শব্দ, তোমার চুমু, তোমার চোখের জল, তোমার চুল, তোমার সাথে অর্চাডের পাশে বা সামনে বসা। বাবু তোমার কি মনে পরে মাঝে মধ্যেই লেকে যাওয়া। ঠিক করে রাখা আগের জায়গাটায় বসা যদিও বলারমত কথা থাকত না তারপরও পাশাপাশি বসে থাকা। মাঝে হঠাত করে উত্তরা দিদির বাড়ি যাওয়া পাশাপাশি বসে তোমার হাত ধরা। আরও একটি সময় হলো সপিং এ যেখানে তোমার সাথে আমার প্রায়ই ঝামেলা হত যদিও তুমি সব সময় চেষ্টা করেছ শান্ত থাকতে। আমি মিস্ করি। অসুস্থ বিছানায় আমার পাশে তোমায় মিস্ করি। যখন তুমি গীর্জার পর বা অন্য কোন দিন কল্যাণপুর থেকে হোষ্টেলে বা অফিসে একা ফিরতে চাইতে না। এসব কিছু আজ আমায় কষ্ট দেয়। গাবতলিতে তোমার আসার বা যাবার জন্য অপেক্ষা। বাড়িতে যখন তুমি মাংস খাও তখন ফোন করে আমায় জিজ্ঞাসা করা আমি কী খাই। এসব আমি মিস্ করি। তোমায় নিয়ে যা কিছু আছে সব মিস্ করি। তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস, তোমার ড্রেস, তোমার নুডুলস্ রাঁধা সব সব সব।আমার সাথে জড়িয়ে তোমার প্রতিটি মুহূর্ত সদরঘাটের পারে খেঁয়াঘাটে দাঁড়িয়ে শেষ আলোটুকু দেখতে দেখতে নিশ্চুপ ওপারে তাকিয়ে থাকা এ সব বড় বেশি কষ্ট দেয়। প্রতিটি রাত বড় নিষ্ঠুর যন্ত্রনা দেয় কারন তুমি, তোমার মুখ।
তোমার কী সেই দিনটির কথা মনে আছে যে দিন আমি প্রথম তোমার সাথে মিটফোর্ডে দেখা করতে যাই। আমি সব সময় তোমায় তুমি বলতাম কিন্তু তুমি বলতে তুই। এবং সেই দিনটির কথা যেদিন আমি বললাম আমার সাথি হবে? ঐদিন ফেরার পথে সারাটি রাস্তা আমার কতনা অজানা ভাবনায় কেঁটেছে কিন্তু একটা বিশ্বাস ছিল তুমি আমায় ফিরিয়ে দিবে না। কিন্তু মনে হয় ফিরিয়ে দিলে ভাল হত আজ এই কষ্টটা ফ্রি পেতে হত না! তোমার সাথে যখন দেখা করতে যেতাম তখন যেন কেমন একটি সুখ অনুভূত হত ফেঁরার পথে আমার একা একা বড্ড খারাপ লাগত কতদিন যে হেঁটে হেঁটে গুলিস্তান এসেছি আর পথে চোখ মুঁছেছি। তোমায় বলতে পারিনি যদি মাহি কে বল তবে তো হাঁসির রোল পরে যাবে। ঐসময় মনে আছে আমার ফোন ছিল না তুমি ফেঁরার পর আমার খোঁজ নিতে। আমরা যখন প্রথম প্রথম দেখা করতে যেতাম তখন হরতাল চলছিল আমরা পাশাপাশি হাঁটতাম মাঝে মাঝে রিক্সায় চড়তাম মনে আছে খুব লজ্জা লজ্জা করত কিছুই বলতে পারতাম না। শুধু সামনে চেয়ে থাকা। মনে পরে যেদিন আমি তোমার হাত প্রথম স্পর্শ করলাম সেদিন আমরা বাসে ধানমন্ডি ক্রস করছিলাম। যখন তোমার সাথে মিটফোর্ড দেখা করতে যেতাম তখন প্রায়ই তোমার কাছে খবর পাঠানো সময় সাপেক্ষ হত কিন্তু তুমি আসলে সব ঠিক। আমরা বেশির ভাগ সময়ই আহ্সানমঞ্জিল যেতাম। শুক্রবার ছিল আমাদের জন্য আলাদা। ঐদিন লাঞ্চের পরই আমি হাজির হতাম। কোন কোন সময় তোমার সাথে ডিউটিতেও দেখা করতাম মনে পরে আমরা বারান্দায় বসতাম না হয় তোমার সাথে টেবিলে, কোন কোন সময় মাহি ও থাকত। এসব কিছু গত ৬ দিন ধরে বিছানায় শুঁয়ে শুঁয়ে ভেবেছি আর কান্না করেছি। জানি তোমার ও সব মনে আছে। শিপ্রার বাড়ি যাবার সময় রাগে হাত কেঁটে ফেলা। সংসদভবন থেকে আমায় হাঁটিয়ে কলাবাগান নেয়া। রাগে ইন্টারভিউর জন্য কাগজ ছিড়ে ফেলা এবং সোঁজা বাড়ি হাঁটা। মাথা ঘোরান চড় দিয়ে আমার চশমা ফেলে দেয়া, প্রায় ১৫ দিন আমার জন্য রাতের খাবার রান্না করা। চাকরির জন্য সব সময় চাঁপ দেয়া সব কিছু আমায় আজও তোমার কথা মনে করায়। আমার চারপাশ সবই তোমার ছোঁয়ায় যা কিছু দেখি মনে হয় ও না থাকলে কিছুই হতো না। বাবু এ সব ভাবনাতেই আমার দিন কাঁটে। জানি তুমি সব সময় এভাবেই আমর মত ভাব। মনটা ক’দিন খুব খারাপ যাচ্ছে মনে হয়না আমি বাঁচব। ঈশ্বর জানেন তুমি ভাল থাক। খুব ভাল।