আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবস কিন্তু দিনটা খুব এঞ্জয় করতে পারলাম না। কারন? কারন নীলা কাছে নেই। সকাল বেলা প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিঃ মাত্র কথা তারপর অফিস স্টার্ট। সারাদিন বাইরে কত জুটি দেখলাম, কত লজ্জা, কত সংকোচ কিন্তু কত ভালবাসা।মনে হয় ওরা যা করতে আজ লজ্জা পাচ্ছে তার জন্য হত একদিন আফসোস করবে। যেমন আমি আজ করছি। কত ভালেনটাইনস ডে যে আমরা নষ্ট করছি তার হিসাব নাই।।
আজ ৯টা ১৫ মি এ এনটিভিতে কাছে আসার গল্প নামে তিনটা নাটক দেখলাম। মোটামুটি ভাল কিন্তু আমারটা ও কোন অংশে কম না। বলবো আমারটা?
আমরা দুজন একই অরফানেজ এ বড় হয়েছি। আমি আগে আর ও পরে এডমিশন নেই। কিন্তু আমরা এক ক্লাস এ পড়তাম। ক্লাস ফাইভ এ প্রথম দেখা। প্রথম প্রথম কোন কথা নাই। শুধু বাস্ততা তারপর কথা শুরু কিন্তু হঠাৎ কোন এক কারনে সব বন্ধ। নীলা যদিও কারনটা মনে করতে পারবেনা কিন্তু আমার আজও মনে আছে। তাই মনে হয় আজ যা করতে মন চায় তাই ই করা উচিৎ
আমরা দুজন ছিলাম দুইগ্রুপ এর লিডার তাই সব প্রোগ্রামে দেখা হবেই। অনেক কিছু বলার থাকত কিন্তু বলা হতনা। সব সময় একটা ইগো কাজ করত। কিন্তু ভাললাগত যখন অন্যরা আমাদের বিষয়ে কথা বলত। কিন্তু দুজন কোন দিন ও দুজন কে বলতে পারলাম না মনের কথা। অন্য কারো কারো চিঠি আমরা আদান প্রদান করতাম কিন্তু দুজনের না বলা কথা গুলো মনের মাঝে থেকে গেলো। এসএসসি পরীক্ষা শেষ করলাম। কিন্তু মনের মাঝে একটা কষ্ট সব সময়ই বাজত। আর তা হল যদি একটু হেল্প করতাম তা হলে হয়তো নীলাও আমার সাথে একবারে পাশ করত। কিন্তু এখন আর কী করার আছে। তাই আমিই প্রথম ওর ঠিকানায় চিঠি দিলাম। আমি জানতাম ও অবশ্যই আমার চিঠির উত্তর দিবে। আর ঠিক তাই হল। ও উত্তর দিল। এরপর শুরু কত যে পত্র আদান প্রদান হল তার ঠিক নাই। কিন্তু এর ভিতর কেমন যেন সব কিছু উল্টো হয়ে গেল। অন্য কেউ আমার জীবন এ ছন্দ পতন ঘটাল। তিনটা বছর আমি পাগলের মত জীবন কে খুঁজলাম কিন্তু জীবন আমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেল। তাই এক সময় আমাকে সব কিছু ছেড়ে চলে আসতে হল। আমি ফিরে আসলাম নীলার কাছে। তারপর টানা ৫ বছর প্রেম/ডেট। কত যে ভুল বোঝা বুঝি কিন্তু ভালবাসা তার চেয়েও বেশী। নীলা এরপর কানাডা চলে গেল। আমার দিন গুলো যেন কেমন থেমে গেল। এর মাঝে শুধু স্কাইপিতে কথা আর ভিডিও চ্যাট। ঠিক দেড় বছর পর ওরা ফিরে আসল। তারপর বিয়ে।
No comments:
Post a Comment