বাবু অনেক দিন হল তোমার কোন দেখা নাই। তোমায় কোন দিনও বুঝাতে পারব না তুমি আমার কি। যখন তুমি ঢাকায় ছিলে তখন আমার মনে হত কেউ একজন আমার খুব কাছের সব সময় পাশে আছে হয়ত সে অফিসে নয়ত হোস্টেলে বা হয়ত আমার উপর রাগ করে আছে। কিন্তু আজ এ সব আমার কাছে স্বপ্ন। সারা দিন তোমার কথা মনে হয়। এই কদিন মনে হয়েছে তুমি বুঝি সত্যি সত্যি অনেক অনেক দূরে। এখনও তোমার কলের জন্য আমি অপেক্ষা করি। তোমার সাথে বিকেল বেলা আমড়া, হালিম, নান খাব বলে অপেক্ষা করি। কাউকে যখন দেখি কোন্ আইসক্রিম খাচ্ছে তখন তোমার কথা মনে হয়। যখন ভ্যানের উপর আচার দেখি তখন আমার কান্না পায়। বাস স্টপে যখন বড় চিংড়ি দেখি তখন তোমার কথা গুলো কানে ভাসে যদিও জানি কিনবে না তার পরও দাম শুনতে চাইতে। খুব বাদাম খেতে কত দিন টাকা নাই বলে কিনতেও পারি নাই আজ তুমি নাই বিশ্বাস কর একটা দিন ও বাদাম খাই নাই। এখন আমড়ার সময় পথে প্রতি দিন আমড়া দেখি কিনতে মন চায় না। ভাবি তুমি ছাড়া ঐ জিনিস কি গলা দিয়ে নামবে? আজ মনে হয় কখনও বেশি কিছু চাওনি যা সামান্য চেয়েছো কোন সময়ই তা দিতে পারি নি। কিন্তু তুমি আমায় দিয়েছো অনেক না চাইতেই সব। পারত নিজের সবটুকু। বাবু তুমি আমায় সব সময় ঋণী করে রাখলে।
তাইতো সব সময় তোমায় অনুভব করি। তোমার স্পর্শ, তোমার গন্ধ, তোমার হাঁসি, তোমার রাগ, তোমার শব্দ, তোমার চুমু, তোমার চোখের জল, তোমার চুল, তোমার সাথে অর্চাডের পাশে বা সামনে বসা। বাবু তোমার কি মনে পরে মাঝে মধ্যেই লেকে যাওয়া। ঠিক করে রাখা আগের জায়গাটায় বসা যদিও বলারমত কথা থাকত না তারপরও পাশাপাশি বসে থাকা। মাঝে হঠাত করে উত্তরা দিদির বাড়ি যাওয়া পাশাপাশি বসে তোমার হাত ধরা। আরও একটি সময় হলো সপিং এ যেখানে তোমার সাথে আমার প্রায়ই ঝামেলা হত যদিও তুমি সব সময় চেষ্টা করেছ শান্ত থাকতে। আমি মিস্ করি। অসুস্থ বিছানায় আমার পাশে তোমায় মিস্ করি। যখন তুমি গীর্জার পর বা অন্য কোন দিন কল্যাণপুর থেকে হোষ্টেলে বা অফিসে একা ফিরতে চাইতে না। এসব কিছু আজ আমায় কষ্ট দেয়। গাবতলিতে তোমার আসার বা যাবার জন্য অপেক্ষা। বাড়িতে যখন তুমি মাংস খাও তখন ফোন করে আমায় জিজ্ঞাসা করা আমি কী খাই। এসব আমি মিস্ করি। তোমায় নিয়ে যা কিছু আছে সব মিস্ করি। তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস, তোমার ড্রেস, তোমার নুডুলস্ রাঁধা সব সব সব।আমার সাথে জড়িয়ে তোমার প্রতিটি মুহূর্ত সদরঘাটের পারে খেঁয়াঘাটে দাঁড়িয়ে শেষ আলোটুকু দেখতে দেখতে নিশ্চুপ ওপারে তাকিয়ে থাকা এ সব বড় বেশি কষ্ট দেয়। প্রতিটি রাত বড় নিষ্ঠুর যন্ত্রনা দেয় কারন তুমি, তোমার মুখ।
তোমার কী সেই দিনটির কথা মনে আছে যে দিন আমি প্রথম তোমার সাথে মিটফোর্ডে দেখা করতে যাই। আমি সব সময় তোমায় তুমি বলতাম কিন্তু তুমি বলতে তুই। এবং সেই দিনটির কথা যেদিন আমি বললাম আমার সাথি হবে? ঐদিন ফেরার পথে সারাটি রাস্তা আমার কতনা অজানা ভাবনায় কেঁটেছে কিন্তু একটা বিশ্বাস ছিল তুমি আমায় ফিরিয়ে দিবে না। কিন্তু মনে হয় ফিরিয়ে দিলে ভাল হত আজ এই কষ্টটা ফ্রি পেতে হত না! তোমার সাথে যখন দেখা করতে যেতাম তখন যেন কেমন একটি সুখ অনুভূত হত ফেঁরার পথে আমার একা একা বড্ড খারাপ লাগত কতদিন যে হেঁটে হেঁটে গুলিস্তান এসেছি আর পথে চোখ মুঁছেছি। তোমায় বলতে পারিনি যদি মাহি কে বল তবে তো হাঁসির রোল পরে যাবে। ঐসময় মনে আছে আমার ফোন ছিল না তুমি ফেঁরার পর আমার খোঁজ নিতে। আমরা যখন প্রথম প্রথম দেখা করতে যেতাম তখন হরতাল চলছিল আমরা পাশাপাশি হাঁটতাম মাঝে মাঝে রিক্সায় চড়তাম মনে আছে খুব লজ্জা লজ্জা করত কিছুই বলতে পারতাম না। শুধু সামনে চেয়ে থাকা। মনে পরে যেদিন আমি তোমার হাত প্রথম স্পর্শ করলাম সেদিন আমরা বাসে ধানমন্ডি ক্রস করছিলাম। যখন তোমার সাথে মিটফোর্ড দেখা করতে যেতাম তখন প্রায়ই তোমার কাছে খবর পাঠানো সময় সাপেক্ষ হত কিন্তু তুমি আসলে সব ঠিক। আমরা বেশির ভাগ সময়ই আহ্সানমঞ্জিল যেতাম। শুক্রবার ছিল আমাদের জন্য আলাদা। ঐদিন লাঞ্চের পরই আমি হাজির হতাম। কোন কোন সময় তোমার সাথে ডিউটিতেও দেখা করতাম মনে পরে আমরা বারান্দায় বসতাম না হয় তোমার সাথে টেবিলে, কোন কোন সময় মাহি ও থাকত। এসব কিছু গত ৬ দিন ধরে বিছানায় শুঁয়ে শুঁয়ে ভেবেছি আর কান্না করেছি। জানি তোমার ও সব মনে আছে। শিপ্রার বাড়ি যাবার সময় রাগে হাত কেঁটে ফেলা। সংসদভবন থেকে আমায় হাঁটিয়ে কলাবাগান নেয়া। রাগে ইন্টারভিউর জন্য কাগজ ছিড়ে ফেলা এবং সোঁজা বাড়ি হাঁটা। মাথা ঘোরান চড় দিয়ে আমার চশমা ফেলে দেয়া, প্রায় ১৫ দিন আমার জন্য রাতের খাবার রান্না করা। চাকরির জন্য সব সময় চাঁপ দেয়া সব কিছু আমায় আজও তোমার কথা মনে করায়। আমার চারপাশ সবই তোমার ছোঁয়ায় যা কিছু দেখি মনে হয় ও না থাকলে কিছুই হতো না। বাবু এ সব ভাবনাতেই আমার দিন কাঁটে। জানি তুমি সব সময় এভাবেই আমর মত ভাব। মনটা ক’দিন খুব খারাপ যাচ্ছে মনে হয়না আমি বাঁচব। ঈশ্বর জানেন তুমি ভাল থাক। খুব ভাল।
তাইতো সব সময় তোমায় অনুভব করি। তোমার স্পর্শ, তোমার গন্ধ, তোমার হাঁসি, তোমার রাগ, তোমার শব্দ, তোমার চুমু, তোমার চোখের জল, তোমার চুল, তোমার সাথে অর্চাডের পাশে বা সামনে বসা। বাবু তোমার কি মনে পরে মাঝে মধ্যেই লেকে যাওয়া। ঠিক করে রাখা আগের জায়গাটায় বসা যদিও বলারমত কথা থাকত না তারপরও পাশাপাশি বসে থাকা। মাঝে হঠাত করে উত্তরা দিদির বাড়ি যাওয়া পাশাপাশি বসে তোমার হাত ধরা। আরও একটি সময় হলো সপিং এ যেখানে তোমার সাথে আমার প্রায়ই ঝামেলা হত যদিও তুমি সব সময় চেষ্টা করেছ শান্ত থাকতে। আমি মিস্ করি। অসুস্থ বিছানায় আমার পাশে তোমায় মিস্ করি। যখন তুমি গীর্জার পর বা অন্য কোন দিন কল্যাণপুর থেকে হোষ্টেলে বা অফিসে একা ফিরতে চাইতে না। এসব কিছু আজ আমায় কষ্ট দেয়। গাবতলিতে তোমার আসার বা যাবার জন্য অপেক্ষা। বাড়িতে যখন তুমি মাংস খাও তখন ফোন করে আমায় জিজ্ঞাসা করা আমি কী খাই। এসব আমি মিস্ করি। তোমায় নিয়ে যা কিছু আছে সব মিস্ করি। তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস, তোমার ড্রেস, তোমার নুডুলস্ রাঁধা সব সব সব।আমার সাথে জড়িয়ে তোমার প্রতিটি মুহূর্ত সদরঘাটের পারে খেঁয়াঘাটে দাঁড়িয়ে শেষ আলোটুকু দেখতে দেখতে নিশ্চুপ ওপারে তাকিয়ে থাকা এ সব বড় বেশি কষ্ট দেয়। প্রতিটি রাত বড় নিষ্ঠুর যন্ত্রনা দেয় কারন তুমি, তোমার মুখ।
তোমার কী সেই দিনটির কথা মনে আছে যে দিন আমি প্রথম তোমার সাথে মিটফোর্ডে দেখা করতে যাই। আমি সব সময় তোমায় তুমি বলতাম কিন্তু তুমি বলতে তুই। এবং সেই দিনটির কথা যেদিন আমি বললাম আমার সাথি হবে? ঐদিন ফেরার পথে সারাটি রাস্তা আমার কতনা অজানা ভাবনায় কেঁটেছে কিন্তু একটা বিশ্বাস ছিল তুমি আমায় ফিরিয়ে দিবে না। কিন্তু মনে হয় ফিরিয়ে দিলে ভাল হত আজ এই কষ্টটা ফ্রি পেতে হত না! তোমার সাথে যখন দেখা করতে যেতাম তখন যেন কেমন একটি সুখ অনুভূত হত ফেঁরার পথে আমার একা একা বড্ড খারাপ লাগত কতদিন যে হেঁটে হেঁটে গুলিস্তান এসেছি আর পথে চোখ মুঁছেছি। তোমায় বলতে পারিনি যদি মাহি কে বল তবে তো হাঁসির রোল পরে যাবে। ঐসময় মনে আছে আমার ফোন ছিল না তুমি ফেঁরার পর আমার খোঁজ নিতে। আমরা যখন প্রথম প্রথম দেখা করতে যেতাম তখন হরতাল চলছিল আমরা পাশাপাশি হাঁটতাম মাঝে মাঝে রিক্সায় চড়তাম মনে আছে খুব লজ্জা লজ্জা করত কিছুই বলতে পারতাম না। শুধু সামনে চেয়ে থাকা। মনে পরে যেদিন আমি তোমার হাত প্রথম স্পর্শ করলাম সেদিন আমরা বাসে ধানমন্ডি ক্রস করছিলাম। যখন তোমার সাথে মিটফোর্ড দেখা করতে যেতাম তখন প্রায়ই তোমার কাছে খবর পাঠানো সময় সাপেক্ষ হত কিন্তু তুমি আসলে সব ঠিক। আমরা বেশির ভাগ সময়ই আহ্সানমঞ্জিল যেতাম। শুক্রবার ছিল আমাদের জন্য আলাদা। ঐদিন লাঞ্চের পরই আমি হাজির হতাম। কোন কোন সময় তোমার সাথে ডিউটিতেও দেখা করতাম মনে পরে আমরা বারান্দায় বসতাম না হয় তোমার সাথে টেবিলে, কোন কোন সময় মাহি ও থাকত। এসব কিছু গত ৬ দিন ধরে বিছানায় শুঁয়ে শুঁয়ে ভেবেছি আর কান্না করেছি। জানি তোমার ও সব মনে আছে। শিপ্রার বাড়ি যাবার সময় রাগে হাত কেঁটে ফেলা। সংসদভবন থেকে আমায় হাঁটিয়ে কলাবাগান নেয়া। রাগে ইন্টারভিউর জন্য কাগজ ছিড়ে ফেলা এবং সোঁজা বাড়ি হাঁটা। মাথা ঘোরান চড় দিয়ে আমার চশমা ফেলে দেয়া, প্রায় ১৫ দিন আমার জন্য রাতের খাবার রান্না করা। চাকরির জন্য সব সময় চাঁপ দেয়া সব কিছু আমায় আজও তোমার কথা মনে করায়। আমার চারপাশ সবই তোমার ছোঁয়ায় যা কিছু দেখি মনে হয় ও না থাকলে কিছুই হতো না। বাবু এ সব ভাবনাতেই আমার দিন কাঁটে। জানি তুমি সব সময় এভাবেই আমর মত ভাব। মনটা ক’দিন খুব খারাপ যাচ্ছে মনে হয়না আমি বাঁচব। ঈশ্বর জানেন তুমি ভাল থাক। খুব ভাল।
No comments:
Post a Comment