বাবু জানি তুমি রাগ করেছো। কিন্তু আমি আর কী করতে পারতাম। যদিও বলি লিখব না, বসবো না কিন্তু তুমি নিজেও জান তা সম্ভব নয়। আজ কাল সকালে এক ঘন্টা তোমার জন্য নেটে অপেক্ষা করলাম কিন্তু তুমি এলে না। তোমাদের সকালে নেটে বসতে চাই না কারন তোমার কাজ থাকে। তার উপর শনি আর রবিবার কী করবা তার কোন হিসেব নেই। তাই এ দু'দিন আমি অন্ধকারে থাকি। আজ মন অনেক খারাপ ছিল তোমার সাথে দু'দিন দেখা নেই তারপরও তুমি নেটে বসলে না। কাল থেকে ৯ টায় ডিভোশন কী ভাবে চ্যাট করবে? ভাবি তোমাদের ল্যাপটপটা হয়তো ডিসটার্ব দিয়েছে তাই চুপ করে থাকি। যদি চিতকার করে কাঁদতে পারতাম তবে তাই করতাম। জানি তুমি শুনতে চাও না আর বলতেও চাও না। মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি বোধ হয় আমায় কষ্ট দেবার জন্যই ভালবাসার কথা বল। তোমার কাছে এসব সম্পর্ক কী কোন অর্থ বহন করেনা? ভাবি তোমার কাছে আমার অবস্থানটা কোথায় তা চিতকার করে জানতে চাইব। শুধুই কী ব্যথা দেবার জন্যই কাছে আসা নাকি এরপর আরও শাস্তি অপেক্ষা করছে? আমি জানি আমি যতখানি উদাসিন তুমি ঠিক তার চেয়ে বেশি হিসেব রাখ আমার। তারপরও কেন এত ব্যথা দাও। আমার মন মানতে চায় না। আমি তোমার রাগ সহজে ভাঙ্গাতে পারতাম না। তুমি যদি বলতে আর দেখা করবে না তবে ঐ দিন খুব কষ্ট দিতে আমার হাজার অনুরোধ তোমায় নীচে আনলেও সারাটা সময় একটি কথাও বলতে না। যত বার হোস্টেলের দরজা থেকে আমি ফেরত এসেছি তুমি হয়তো ততবার আমার বাসায়ও যাও নি। কিন্তু তুমি বলতে পারবে না আমি তোমায় কখনও বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছি। এর একটি কারন আমি তা করতে পারতাম না তোমার চলে যাওয়া আমার ভাল লাগত না তাই তো ১৯/৬ এর পর প্রতিজ্ঞা করলাম তুমি কল্যাণপুর থেকে আর একা যাবে না যত কাজ থাকুক আমি তোমার সাথে যাব। জানি আমি বেশি দিন সময় পাইনি তবে আমি চেষ্টা করতাম। বাবু আমার এখন সব কিছুতেই তুমি এসে যাও। কাল রাতে শুতে গিয়ে হিসেব করলাম তোমার দেয়া কী কী আমার কাছে আছে দেখলাম আমার কেনা কিছুই নেই সবই তোমার দেয়া এমন কী আমার জন্ম দিনে তোমার দেয়া সেভিং ক্রিমটিও তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার দামি সেন্ডল সু, প্যান্ট-শার্ট, ব্যাগ, হেয়ার ক্রিম, টুথ ব্রাশ দেখলাম প্রতিটি জিনিস বাবু তোমার দেয়া। তাই আমি কোন সময়ই তোমার ছোঁয়া ছাড়া থাকতে পারি না। কোন কিছু ধরলেই তোমার কথা মনে পরে। রাতে ভাবি ভোরে তোমার মেইলে না জানি কত দরদ মেশানো কথা লেখা থাকবে পড়ে আমার কান্না পাবে কিন্তু তুমি মেইল করো না করলেও এত ছোট মেইল যে মন ভরাতে আমার ঐ মেইল বহু বার পরতে হয়। বাবু রাস্তায় গেলে বড় বড় আমড়া দেখা যায় কিনতে মন চায় মাত্র ৩ টাকা কিন্তু তুমি নাই বলে শুধু তাকিয়ে থাকি আর ভাবি তুমি যখন ফিরবে তখন এক সাথে খাব। তোমার ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকি ভাবি এমন তো কোন রূপ নেই তার পরও কেন এত মায়ায় জরায়? কেন এত ভালবাসতে মন চায়? কেন মনে হয় ওর জন্যই আমার সব কান্না গুলো জমা ছুঁয়ে দিলেই সব বাঁধ ভাংবে। অমন করে যে হাসছো সব কী আমার কান্না দেখে? আরও কত কী যে মনে হয়। সেদিন টিভিতে এক মহিলার কথা শুনছিলাম ওনার স্বামী নাবিক হঠাৎ নাকি কিডন্যাপ হয়েছে। মহিলা বলছিল আজ দু'দিন কিন্তু জানি না উনি কোথায়। বেঁচে আছেন কী না। সঙ্গে সঙ্গে আমার তোমার কথা মনে হয় আর এমন কান্না পেল যে সবার সামনে থেকে বাঁচতে বাথরুমে চলে গেলাম। জানি না কেন মন সব সময় এক অজানা অস্থিরতার মধ্যে থাকে। তোমায় বোঝাতে পারব না। তুমি ছাড়া আমার এ পৃথিবী শূণ্য। তুমি কেমন আছো খুব দেখতে মন চায়। আমার শত জন্মের ভালবাসা তোমার জন্য জমা। ভাল থাক। আমার চাওয়ার চাইতেও বেশি। আমি ভাল আছি যেমন রেখেছো।
Sunday, August 16, 2009
জানি নিজের চেয়েও বেশি ভাব আমার জন্য।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment